শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১১

মোখের দূরর্গন্দ কেন হয় এবং করনীয় ।

সাধারণত মুখ ও দাঁতের কারণেই দুর্গন্ধ হয়। তবে অন্য কারণেও হতে পারে। যাদের দাঁত ও মাড়িতে তেমন কোনো অসুখ নেই, তাদেরও জিহ্বার পেছনের দিকে খাদ্যকণা জমে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। সাইনাসের সমস্যা বা নাকে সমস্যার জন্যও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। আরো কিছু শারীরিক সমস্যায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। বাস্তবে মুখে দুর্গন্ধের সবচেয়ে বড়া কারণ দাঁত ও মাড়ির অসুখ।
তাই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও ডেন্টিস্টের কাছেই যেতে হবে।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ :
- যেকোনো খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ব্রাশ না করলে বা নিয়মিত ব্রাশ না করলে তা পচে মুখে দুর্গন্ধ হয়। আবার কিছু খাবার, যেমন_পেঁয়াজ-রসুন খেলে এমনিতেই মুখে দুর্গন্ধ হয়।
- নিয়মিত ব্রাশ না করলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। শুধু ব্রাশ করাই নয়, নিয়মিত ফ্লস করাটাও সমান দরকারি। ফ্লস হচ্ছে এক ধরনের সুতা, যা দিয়ে দুই দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার করা যায়। যাঁরা নকল দাঁত বা ডেনচার ব্যবহার করেন, তাঁদেরও নিয়মিত নকল দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন সকালে নকল দাঁত মুখে পরার আগে ভালো করে ডিটারজেন্ট বা গুঁড়ো সাবান দিয়েধুয়ে নিতে হবে। নিশ্চয়ই জানেন, নকল দাঁত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খুলে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ইনফেকশন ও মুখের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে পানিতে সামান্য মাউথওয়াশ মিশিয়ে নিন।
- জিহ্বায়ও খাদ্যকণা আটকে থাকে।বিশেষ করে জিহ্বার পেছন দিকে। তাই ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত। সাধারণত ব্রাশের হাতলের দিকটা দিয়ে বা টাং স্ক্র্যাপার (জিহ্বা পরিষ্কারের বিশেষ যন্ত্র) দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করা দরকার।
- ব্রাশ ও ফ্লস করার পরও যাদের মুখে দুর্গন্ধ হয় তাদের দাঁতের মাড়িতে হয়তো ইতিমধ্যে পাথর জমে গেছে। মাড়িতে ইনফেকশন হয়ে জিনজিভাইটিস হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ব্রাশ, ফ্লস যা কিছুই করা হোক_জমে থাকা পাথর দূর না করা পর্যন্ত দুর্গন্ধ দূর হবে না। আর এই পাথর দূর করার চিকিৎসাটির নাম স্কেলিং ও পেরিওপকেট কিউরেটেজ।
- অনেকের ড্রাই মাউথ বা জেরোস্টোমিয়া নামের অসুখ থাকে। সাধারণত মেনোপজের পর মহিলারা ও ষাটোর্ধ্ব বয়সী যেকোনো মানুষ এইরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগ থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
- ধূমপান, পান, গুল, জর্দা, সাদাপাতা ইত্যাদি যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের মুখে দুর্গন্ধ হবেই। অ্যালকোহলেও তাই।
- দাঁতে ক্যারিজ বা ক্ষয়রোগ থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
কেন দুর্গন্ধ হয় ?
মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো এক ধরনের সালফার যৌগ তৈরি করে। এই যৌগে থাকে হাইড্রোজেন সালফাইড,মিথাইল মারক্যাপটান এবং ডাইমিথাইল সালফাইড। আর মুখে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি হয় যখন তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার থাকে তখন।
সালফার গ্যাসের পরিমাপ জানতে একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। হ্যালিমিটার নামের যন্ত্র দিয়ে সহজেই নির্ণয় করা যায় কেন দুর্গন্ধ হচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনো এটির ব্যবহার শুরু হয়নি।
এই গ্যাসের গন্ধ কমানো যায় মাউথওয়াশ ব্যবহার করে।
যাদের মুখে দুর্গন্ধ আছে :
- প্রথম কাজটি হলো সকালে নাশতার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করুন। প্রতিবেলা খাবারের পর ফ্লস করে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার করুন। একজন ডেন্টিস্টকে দেখিয়ে প্রয়োজনে স্কেলিং করে নিন।
- পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করুন।
- আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান। মূল খাবারের মাঝে নাশতা হিসেবে ফল খান।
- চুইংগাম চিবুতে পারেন। চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবুলে বেশি উপকার পাবেন।
- চা বা কফি পান করার পর ভালো করে কুলি করুন। ধূমপান করলেও কুলি করুন।
পরামর্শদাতা : ডা. মুজাহিদুল ইসলাম
ডেন্টাল সার্জন, বিএসএমএমইউ,ঢাকা

কিভাবে মোমবাতির আলো বাড়াবেন?

প্রথমে মোমবাতিকে প্রিজে ড়ুকিয়ে রাখুন। যকন, জ্বালানোর প্রযোজন হবে তখন বেরকরে জ্বালন দেখবেন অনেক আলো পাওয়া যাচ্ছে এবং কম জ্বলতেচে।